%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%20%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3%20%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%20%E0%A6%93%20%E0%A6%AB%E0%A6%AF%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A4%20(1).png)
এই সূরাটি প্রমাণ উপস্থাপন করে যে আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) সাত আসমানের উপরে, এবং সর্বত্র নয়, যেমনটি উদ্ভাবকদের অভিযোগ।
আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) জীবন ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন যাতে মানুষ ও জিনকে তাদের বিশ্বাস ও কাজে পরীক্ষা করা যায়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা শুধু মানুষ এবং তার দেখার ক্ষমতা সৃষ্টি করেননি বরং পৃথিবীতে তার বংশ বৃদ্ধি করেছেন, তবুও মানুষ আল্লাহর প্রতি অকৃতজ্ঞ।
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুধুমাত্র একজন সতর্ককারী এবং শেষ কিয়ামতের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছেই রয়েছে।
সূরা মূলকের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ ঃ
بِسْمِ
اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি
আল্লাহর নামে
যিনি পরম
করুণাময়, অতি
দয়ালু।
১) تَبَٰرَكَ ٱلَّذِى بِيَدِهِ ٱلْمُلْكُ
وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণঃ তাবা-রাকাল্লাযী বিয়াদিহিল
মুলকু ওয়া
হুওয়া ‘আলা-
কুল্লি শাইয়িন
কাদীর।
অর্থঃ
মহামহিমান্বিত তিনি
যাঁর হাতে
রয়েছে সার্বভৌম কর্তৃত্ব,
আর তিনি
সব-কিছুর
উপরে সর্বশক্তিমান।
২)
اۨلَّذِىْ
خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيٰوةَ لِيَبْلُوَكُمْ اَيُّكُمْ اَحْسَنُ عَمَلًا ؕ
وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْغَفُوْرُۙ
উচ্চারণঃ আল্লাযী
খালাকাল মাওতা
ওয়াল হায়া-তা লিইয়াবলুওয়াকুম
আইয়ুকুম আহছানু‘আমালাওঁ
ওয়া হুওয়াল
‘আঝীঝুল গাফূর।
অর্থঃ
যিনি সৃষ্টি
করেছেন মরণ
ও জীবন,
যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা
করেন-কে
তোমাদের মধ্যে
কর্মে শ্রেষ্ঠ?
তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়।
৩)
الَّذِي
خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا مَّا تَرَى فِي خَلْقِ الرَّحْمَنِ مِن
تَفَاوُتٍ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَى مِن فُطُورٍ
উচ্চারণঃ আল্লাযী
খালাকা ছাব‘আ
ছামা-ওয়া-তিন তিবা-কান মা- তারা- ফী খালকির রাহমা-নি মিন তাফা-উত ফারজি‘ইল বাসারা
হাল তারা-
মিন ফুতূর।
অর্থঃ
যিনি সাত
আকাশ সৃষ্টি
করেছেন সুবিন্যস্তভাবে। তুমি
পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে
কোনো অসামঞ্জস্য দেখতে
পাবে না।
তারপর তুমি
দৃষ্টি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নাও, তুমি কি কোনো ফাটল
দেখতে পাচ্ছ?
৪)
ثُمَّ
ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِأً وَهُوَ
حَسِيرٌ
উচ্চারণঃ ছু ম্মার জি’ইলবাসারা
কাররাতাইনি ইয়ানকালিব ইলাইকাল
বাসারু খা-ছিআওঁ ওয়া হুওয়া হাছীর।
অর্থঃ অতঃপর
তুমি বার
বার তাকিয়ে
দেখ-তোমার
দৃষ্টি ব্যর্থ
ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে
ফিরে আসবে।
৫)
وَلَقَدْ
زَيَّنَّا السَّمَاء الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُومًا
لِّلشَّيَاطِينِ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيرِ
উচ্চারণঃ ওয়া লাকাদ ঝাইয়ান্নাছ
ছামাআদ্দুনইয়া- বিমাসা-বীহা ওয়াজা’আলনা-
হা- রুজূমাল
লিশশায়া-তীনি
ওয়া আ’তাদনা-
লাহুম ‘আযা-
বাছছা’ঈর।
অর্থঃ
আমি সর্বনিম্ন আকাশকে
প্রদীপমালা দ্বারা
সুসজ্জত করেছি;
সেগুলোকে শয়তানদের জন্যে
ক্ষেপণাস্ত্রবৎ করেছি
এবং প্রস্তুত করে রেখেছি তাদের
জন্যে জলন্ত
অগ্নির শাস্তি।
৬)
وَلِلَّذِينَ
كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
উচ্চারণঃ ওয়া লিল্লাযীনা কাফারূবিরাব্বিহিম
‘আযা- বুজাহান্নামা ওয়াবি’ছাল
মাসীর।
অর্থঃ
যারা তাদের
পালনকর্তাকে অস্বীকার করেছে
তাদের জন্যে
রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি।
সেটা কতই
না নিকৃষ্ট
স্থান।
৭)
إِذَا
أُلْقُوا فِيهَا سَمِعُوا لَهَا شَهِيقًا وَهِيَ تَفُورُ
উচ্চারণঃ ইযাউলকূফীহা-
ছামি’উ লাহা-
শাহীকাওঁ ওয়াহিয়া
তাফূর।
অর্থঃ যখন তারা তথায়
নিক্ষিপ্ত হবে,
তখন তার
উৎক্ষিপ্ত গর্জন
শুনতে পাবে।
৮)
تَكَادُ
تَمَيَّزُ مِنَ الْغَيْظِ كُلَّمَا أُلْقِيَ فِيهَا فَوْجٌ سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَا
أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَذِيرٌ
উচ্চারণঃ তাকা-
দুতামাইয়াঝুমিনাল গাইজি
কুল্লামাউলকিয়া ফীহা-
ফাওজুন ছাআলাহুম খাঝানাতুহাআলাম
ইয়া’তিকুম নাযীর।
অর্থঃ
ক্রোধে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে।
যখনই তাতে
কোন সম্প্রদায় নিক্ষিপ্ত
হবে তখন
তাদেরকে তার
সিপাহীরা জিজ্ঞাসা করবে।
তোমাদের কাছে
কি কোন
সতর্ককারী আগমন
করেনি?
৯)
قَالُوا
بَلَى قَدْ جَاءنَا نَذِيرٌ فَكَذَّبْنَا وَقُلْنَا مَا نَزَّلَ اللَّهُ مِن
شَيْءٍ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ كَبِيرٍ
উচ্চারণঃ কা- লূবালা- কাদ জাআনা- নাযীরুন
ফাকাযযাবনা- ওয়া
কুলনা- মানাঝঝালাল্লা- হু মিন শাইয়িন
ইন আনতুম
ইল্লা- ফী
দালা- লিন
কাবীর।
অর্থঃ
তারা বলবেঃ
হ্যাঁ আমাদের
কাছে সতর্ককারী আগমন
করেছিল, অতঃপর
আমরা মিথ্যারোপ করেছিলাম
এবং বলেছিলামঃ আল্লাহ
তা’আলা কোন
কিছু নাজিল
করেননি। তোমরা
মহাবিভ্রান্তিতে পড়ে
রয়েছ।
১০)
وَقَالُوا
لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِي أَصْحَابِ السَّعِيرِ
উচ্চারণঃ ওয়া কা-লূলাও
কুন্না- নাছমা’উ
আও না’কিলুমা-
কুন্না-ফীআসহা-বিছছা’ঈর।
অর্থঃ
তারা আরও
বলবেঃ যদি
আমরা শুনতাম
অথবা বুদ্ধি
খাটাতাম, তবে
আমরা জাহান্নামবাসীদের মধ্যে
থাকতাম না।
১১)
فَاعْتَرَفُوا
بِذَنبِهِمْ فَسُحْقًا لِّأَصْحَابِ السَّعِيرِ
উচ্চারণঃ ফা’তারাফূবিযামবিহিম
ফাছুহক্বললিআসহা-বিছ
ছা’ঈর।
অর্থঃ অতঃপর
তারা তাদের
অপরাধ স্বীকার
করবে। জাহান্নামীরা দূর হোক।
১২)
إِنَّ
الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِالْغَيْبِ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ
উচ্চারণঃ ইন্নাল্লাযীনা
ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম বিলগাইবি
লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়া আজরুন কাবীর।
অর্থঃ
নিশ্চয় যারা
তাদের পালনকর্তাকে না দেখে ভয় করে, তাদের
জন্যে রয়েছে
ক্ষমা ও
মহাপুরস্কার।
১৩)
وَأَسِرُّوا
قَوْلَكُمْ أَوِ اجْهَرُوا بِهِ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
উচ্চারণঃ ওয়া আছিররূকাওলাকুম আবিজহারূবিহী
ইন্নাহূ’আলীমুম বিযা-
তিসসুদূ র।
অর্থঃ
তোমরা তোমাদের কথা গোপনে বল অথবা প্রকাশ্যে
বল, তিনি
তো অন্তরের
বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক
অবগত।
১৪)
أَلَا
يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ
উচ্চারণঃ আলা- ইয়া’লামুমান খালাকা ওয়া
হুওয়াল্লাতীফুল খাবীর।
অর্থঃ যিনি
সৃষ্টি করেছেন,
তিনি কি
করে জানবেন
না? তিনি
সূক্ষ্নজ্ঞানী, সম্যক
জ্ঞাত।
১৫)
هُوَ الَّذِي
جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ ذَلُولًا فَامْشُوا فِي مَنَاكِبِهَا وَكُلُوا مِن
رِّزْقِهِ وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
উচ্চারণঃ হুওয়াল্লাযী জা’আলা লাকুমুল
আরদা যালূলান ফামশূফী মানা-কিবিহা- ওয়া কুলূমির রিঝকিহী ওয়া ইলাইহিন নুশূর।
অর্থঃ
তিনি তোমাদের জন্যে
পৃথিবীকে সুগম
করেছেন, অতএব,
তোমরা তার
কাঁধে বিচরণ
কর এবং
তাঁর দেয়া
রিযিক আহার
কর। তাঁরই
কাছে পুনরুজ্জীবন হবে।
১৬)
أَأَمِنتُم
مَّن فِي السَّمَاء أَن يَخْسِفَ بِكُمُ الأَرْضَ فَإِذَا هِيَ تَمُورُ
উচ্চারণঃ আ আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ
ইয়াখছিফা বিকুমুল আরদা ফাইযা- হিয়া তামূর।
অর্থঃ
তোমরা কি
ভাবনামুক্ত হয়ে
গেছ যে,
আকাশে যিনি
আছেন তিনি
তোমাদেরকে ভূগর্ভে
বিলীন করে
দেবেন, অতঃপর
তা কাঁপতে
থাকবে।
১৭)
أَمْ
أَمِنتُم مَّن فِي السَّمَاء أَن يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا فَسَتَعْلَمُونَ
كَيْفَ نَذِيرِ
উচ্চারণঃ আম আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ
ইউরছিলা ‘আলাইকুম হা-সিবান ফাছাতা’লামূনা কাইফা নাযীর।
অর্থঃ
না তোমরা
নিশ্চিন্ত হয়ে
গেছ যে,
আকাশে যিনি
আছেন, তিনি
তোমাদের উপর
প্রস্তর বৃষ্টি
বর্ষণ করবেন,
অতঃপর তোমরা
জানতে পারবে
কেমন ছিল
আমার সতর্কবাণী।
১৮)
وَلَقَدْ
كَذَّبَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَكَيْفَ كَانَ نَكِيرِ
উচ্চারণঃ ওয়া লাকাদ কাযযাবাল্লাযীনা
মিন কাবলিহিম ফাকাইফা কা- না নাকীর।
অর্থঃ
তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ
করেছিল, অতঃপর
কত কঠোর
হয়েছিল আমার
অস্বীকৃতি।
১৯)
أَوَلَمْ
يَرَوْا إِلَى الطَّيْرِ فَوْقَهُمْ صَافَّاتٍ وَيَقْبِضْنَ مَا يُمْسِكُهُنَّ
إِلَّا الرَّحْمَنُ إِنَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ بَصِيرٌ
উচ্চারণঃ আওয়ালাম
ইয়ারাও ইলাত্তাইরি ফাওকাহুম
সাফফা-তিওঁ
ওয়াইয়াকবিদন ।
মাইউমছিকুহুন্না ইল্লাররাহমা-নু ইন্নাহূবিকুল্লি শাইয়িম
বাসীর।
অর্থঃ
তারা কি
লক্ষ্য করে
না, তাদের
মাথার উপর
উড়ন্ত পক্ষীকুলের প্রতি
পাখা বিস্তারকারী ও পাখা সংকোচনকারী?
রহমান আল্লাহ-ই তাদেরকে
স্থির রাখেন।
তিনি সর্ব-বিষয় দেখেন।
২০)
أَمَّنْ
هَذَا الَّذِي هُوَ جُندٌ لَّكُمْ يَنصُرُكُم مِّن دُونِ الرَّحْمَنِ إِنِ
الْكَافِرُونَ إِلَّا فِي غُرُورٍ
উচ্চারণঃ আম্মান হা-যাল্লাযী হুওয়া
জুনদুল্লাকুম ইয়ানসুরুকুম মিন দূ নিররাহমা-নি ইনিল কাফিরূনা ইল্লা- ফী গুরূর।
অর্থঃ
রহমান আল্লাহ
তা’আলা ব্যতীত
তোমাদের কোন
সৈন্য আছে
কি, যে
তোমাদেরকে সাহায্য
করবে? কাফেররা
বিভ্রান্তিতেই পতিত
আছে।
২১)
أَمَّنْ
هَذَا الَّذِي يَرْزُقُكُمْ إِنْ أَمْسَكَ رِزْقَهُ بَل لَّجُّوا فِي عُتُوٍّ
وَنُفُورٍ
উচ্চারণঃ আম্মান হা- যাল্লাযী
ইয়ারঝকুকুম ইন আমছাকা রিঝকাহূ বাল্লাজ্জূফী ‘উতুওবিওয়া নুফূর।
অর্থঃ তিনি
যদি রিযিক
বন্ধ করে
দেন, তবে
কে আছে,
যে তোমাদেরকে রিযিক
দিবে বরং
তারা অবাধ্যতা ও বিমুখতায় ডুবে
রয়েছে।
২২)
أَفَمَن
يَمْشِي مُكِبًّا عَلَى وَجْهِهِ أَهْدَى أَمَّن يَمْشِي سَوِيًّا عَلَى صِرَاطٍ
مُّسْتَقِيمٍ
উচ্চারণঃ আফামাইঁ ইয়ামশী মুকিব্বান
‘আলা- ওয়াজহিহী আহদা আম্মাইঁ ইয়ামশী ছাবি ইয়ান ‘আলা-সিরা-তিমমুছতাকীম।
অর্থঃ
যে ব্যক্তি
উপুড় হয়ে
মুখে ভর
দিয়ে চলে,
সে-ই
কি সৎ
পথে চলে,
না সে
ব্যক্তি যে
সোজা হয়ে
সরলপথে চলে?
২৩)
قُلْ هُوَ
الَّذِي أَنشَأَكُمْ وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ
قَلِيلًا مَّا تَشْكُرُونَ
উচ্চারণঃ কুল হুওয়াল্লাযীআনশাআকুম ওয়া
জা‘আলা লাকুমুছছাম‘আ ওয়াল আবসা-রা ওয়াল আফইদাতা কালীলাম মা-তাশকুরূন।
অর্থঃ বলুন,
তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি
করেছেন এবং
দিয়েছেন কর্ণ,
চক্ষু ও
অন্তর। তোমরা
অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
কর।
২৪)
قُلْ هُوَ
الَّذِي ذَرَأَكُمْ فِي الْأَرْضِ وَإِلَيْهِ تُحْشَرُونَ
উচ্চারণঃ কুল হুওয়াল্লাযী যারাআকুম ফিল
আরদিওয়া ইলাইহি তুহশারূন।
অর্থঃ বলুন,
তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে
বিস্তৃত করেছেন
এবং তাঁরই
কাছে তোমরা
সমবেত হবে।
২৫)
وَيَقُولُونَ
مَتَى هَذَا الْوَعْدُ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
উচ্চারণঃ ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল
ওয়া’দুইন কুনতুম সা-দিকীন।
অর্থঃ কাফেররা
বলেঃ এই
প্রতিশ্রুতি কবে
হবে, যদি
তোমরা সত্যবাদী হও?
২৬)
قُلْ
إِنَّمَا الْعِلْمُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
উচ্চারণঃ কুল ইন্নামাল ‘ইলমু’ইনদাল্লা-
হি ওয়া ইন্নামাআনা নাযীরুম মুবীন।
অর্থঃ বলুন,
এর জ্ঞান
আল্লাহ তা’আলার
কাছেই আছে।
আমি তো
কেবল প্রকাশ্য সতর্ককারী।
২৭)
فَلَمَّا
رَأَوْهُ زُلْفَةً سِيئَتْ وُجُوهُ الَّذِينَ كَفَرُوا وَقِيلَ هَذَا الَّذِي
كُنتُم بِهِ تَدَّعُونَ
উচ্চারণঃ ফালাম্মা-রাআওহু ঝুলফাতান
ছীআত ঊজূহুল্লাযীনা কাফারূওয়া
কীলা হা-যাল্লাযী কুনতুম
বিহী তাদ্দা’ঊন।
অর্থঃ
যখন তারা
সেই প্রতিশ্রুতিকে আসন্ন
দেখবে তখন
কাফেরদের মুখমন্ডল মলিন
হয়ে পড়বে
এবং বলা
হবেঃ এটাই
তো তোমরা
চাইতে।
২৮)
قُلْ
أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَهْلَكَنِيَ اللَّهُ وَمَن مَّعِيَ أَوْ رَحِمَنَا فَمَن
يُجِيرُ الْكَافِرِينَ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ
উচ্চারণঃ কুল আরাআইতুম ইন
আহলাকানিয়াল্লা-হু ওয়া মাম্মা‘ইয়া আও রাহিমানা- ফামাইঁ ইউজীরুল কা-ফিরীনা মিন
‘আযা-বিন আলীম।
অর্থঃ বলুন,
তোমরা কি
ভেবে দেখেছ-যদি আল্লাহ
তা’আলা আমাকে
ও আমার
সংগীদেরকে ধ্বংস
করেন অথবা
আমাদের প্রতি
দয়া করেন,
তবে কাফেরদেরকে কে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি
থেকে রক্ষা
করবে?
২৯)
قُلْ هُوَ
الرَّحْمَنُ آمَنَّا بِهِ وَعَلَيْهِ تَوَكَّلْنَا فَسَتَعْلَمُونَ مَنْ هُوَ فِي
ضَلَالٍ مُّبِينٍ
উচ্চারণঃ কুল হুওয়াররাহমা-নুআ-মান্না-বিহী
ওয়া’আলাইহি তাওয়াক্কালনা-, ফাছাতা’লামূনা
মান হুওয়া
ফী দালা-লিম মুবীন।
অর্থঃ
বলুন, তিনি
পরম করুণাময়,
আমরা তাতে
বিশ্বাস রাখি
এবং তাঁরই
উপর ভরসা
করি। সত্ত্বরই তোমরা
জানতে পারবে,
কে প্রকাশ্য পথ-ভ্রষ্টতায় আছে।
৩০)
قُلْ
أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَصْبَحَ مَاؤُكُمْ غَوْرًا فَمَن يَأْتِيكُم بِمَاء مَّعِينٍ
উচ্চারণঃ কুল আরাআইতুম ইন আসবাহা মাউকুম
গাওরান ফামাইঁ
ইয়া’তীকুম বিমাইম
মা’ঈন।
অর্থঃ
বলুন, তোমরা
ভেবে দেখেছ
কি, যদি
তোমাদের পানি
ভূগর্ভের গভীরে
চলে যায়,
তবে কে
তোমাদেরকে সরবরাহ
করবে পানির
স্রোতধারা?
সূরা আল মুলক এর ফজিলত:
১ সুরা আল-মুলকের পূর্ববর্তী সুরা হচ্ছে সুরা আত-তাহরিম। আর পরবর্তী সুরা হচ্ছে সুরা আল-কলম। সুরা মুলকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত রয়েছে। যে ব্যক্তি প্রতিরাতে সুরা মুলক পাঠ করবে, সুরা মুলক তার জন্য কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। তাকে কবরের আজাব থেকে হেফাজত করবে। এই ফজিলত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
রাসুল (সা.) হাদিস শরিফে ইরশাদ করেন, ‘কোরআনের মধ্যে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরা আছে, যেটি কারো পক্ষে সুপারিশ করলে— তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। এ সুরাটি হলো- তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৪০০; সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯১)
আরেক
হাদিসে এসেছে, ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাবারাকাল্লাজি
বিয়াদিহিল মুলক পড়বে, আল্লাহ তাআলা তাকে এই সুরার মাধ্যমে কবরের আজাব থেকে বাঁচিয়ে
রাখবেন।’ (আমালুল ইয়াউমি ওয়াল লাইলাতি, নাসায়ি,
হাদিস : ৭১১; সহিহুত তারগিব : ২/২৫৩, হাদিস: ১৫৮৯)
২.
যে লোক সূরা মূলক নিয়মিত পাঠ করবে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং পরকালে ইহা তার জন্য
সুপারিশ করবে।
৩.
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত মুহাম্মদ
(সঃ) বলেছেন, কুরআনে একটি সূরা রয়েছে যা কেবল ত্রিশটি আয়াত। এটি পাঠকারীকে জান্নাতে
না নেওয়া পর্যন্ত তার সাথে থাকবে।
৪.
মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন “সূরা আল মূলক কবরের আযাব থেকে রক্ষাকারী”
৫. জাবির বলেছিলেন যে তাবারকাল্লাদি বিয়াদিহিল মুলক (আল-মুলক) এবং আলিফ লাম মীম তানজিল (আস-সাজদা) পড়া না হওয়া পর্যন্ত ঘুমাতে না যাওয়ার রীতি ছিল।
৬. ইবনে উমর (রাঃ ) বলেছিলেন যে একবার মুহাম্মদ (সাঃ) সূরা আল মুলক এর দ্বিতীয় আয়াত পাঠ করছিলেন (তিনিই মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদের পরীক্ষা করতে পারেন যে তোমাদের মধ্যে কে কর্মে উত্তম) এবং যখন তিনি “কাজের মধ্যে উত্তম” কথাটি পৌঁছেছিলেন, তখন তিনি থামিয়ে ব্যাখ্যা করলেন। “কর্মে আরও ভাল” সেই ব্যক্তি হ’ল যে ব্যক্তি আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন সে বিষয় থেকে সর্বাধিক পরিহার করে এবং সর্বদা তাঁর আনুগত্য করতে প্রস্তুত থাকে। “
আল মুলক আল মুলক আল মুলক আল মুলক আল মুলক আল মুলক আল মুলক আল মুলক আল মুলক আল মুলক আল মুলক আল মুলক
শেষকথা
আশা করি আপনারা সূরা মূলকের ফজিলত উপর অনেক ধ্যান দেন। এই সূরা অত্যন্ত মৌলিক এবং মূলতাত্ত্বিক মূল্যের সাথে পরিপূর্ণ। আমরা দুনিয়াতে চলতে ফিরতে অনেক লোকের সাথে বন্ধুত্ব অভিবাসন করি, কিন্তু সেই সম্পর্কটি অবিচ্ছিন্নভাবে থাকে না। কারণ কালের কেয়ামতে কেউ কাউকে সাহায্য করতে পারবে না। দুনিয়াতে আমাদের সঙ্গে যারা বন্ধুত্ব গড়েছেন, তারা কখনোই সাহায্যে আসবে না। তাঁরা নয়, আমাদের পরিবারের কেউ, না সঙ্গী-সঙ্গিনী, বন্ধু-বন্ধুকেও আসতে পারবে না।
আসলে, করব আর হাশরের ময়দানে কোনো বন্ধু থাকবে না। আমরা যে সৌভাগ্যে ভোগ করি তা আল্লাহ তা'আলা একেবারে দরজা দিয়েছেন আমাদের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত হিসেবে। আল্লাহ তাঁর এই উম্মতকে কুরআনের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন এবং মুসলিম হিসেবে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। তাই, আমাদের বন্ধুত্বের উদ্দেশ্যে যে কেউ আসবে না, কিন্তু কুরআন আমাদের নিজেই বন্ধু হবে কবরে এবং হাশরের মাঠে। এতে আর কোনো বড় সাহায্যের প্রয়োজন নেই। মুহাম্মদ (সাঃ) এর শাফায়েত কপালে জুটবে, তার আর কী চাওয়া থাকবে? আরেকটু চিন্তা করুন, দুনিয়াতে যদি এদের বন্ধু না থাকে, তবে হাশরে তারা কী করবে?
তাই, প্রিয় পাঠকগণ, আমি আশা করি এবং চেষ্টা করি যেন আমরা নিয়মিত সূরা মূলক পাঠ করি এবং মুহাম্মদ (সাঃ) এর সুন্নাহ অনুসরণ করে আমাদের জীবন পরিচালনা করি। আল্লাহ আমাদের সবার উপরে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।